বাফুফের নতুন সভাপতি হিসেবে তাবিথ আউয়াল

বাফুফের নতুন সভাপতি হিসেবে তাবিথ আউয়াল
বাফুফের সভাপতি পদে এবারের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ছিল পুরো ফুটবল মহলে। তবে নির্বাচন পূর্ববর্তী পর্যায় থেকেই অনেকটাই নিশ্চিত ছিল যে তাবিথ আউয়ালই নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে বাস্তবে কোনো চমক না ঘটিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল সেটাই প্রমাণ করল। তাবিথ আউয়াল বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে দেশের ফুটবল সংগঠনের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলেন। ১২৮টি ভোটের মধ্যে তাবিথ একাই পেয়েছেন ১২৩ ভোট, অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৫টি ভোট।

এই নির্বাচনের ফলাফলে প্রমাণিত হলো ফুটবল সংগঠকেরা তাবিথের প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং তার নেতৃত্বে দেশের ফুটবলে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশায় রয়েছেন। প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই প্রচারণায় খুব বেশি সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাবিথকে। মূলত কোনো হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এবং সংগঠকদের পূর্ব থেকেই তার প্রতি সমর্থন থাকায় নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। তাবিথ মনে করেন, বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দেশের ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।

তাবিথ আউয়াল নির্বাচনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ফুটবলপ্রেমীদের আশীর্বাদ এবং সহযোগিতার মাধ্যমেই এ বিজয় সম্ভব হয়েছে। কাজী সালাউদ্দিনের দীর্ঘ ১৬ বছরের অধ্যায় শেষে নতুন নেতৃত্বে দেশের ফুটবল কোন পথে এগোবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।’

তাবিথ আউয়াল নিজেও একজন সাবেক ফুটবলার, এবং দেশের ফুটবলে তার সংযোগ বহুদিনের। তিনি বিশ্বাস করেন, ফুটবলের উন্নয়ন এবং দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে বাফুফের নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, এবং নতুন কার্যক্রম বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে তাবিথ তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি মাঠপর্যায়ে ফুটবলের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তরুণ প্রতিভাদের যথোপযুক্ত সুযোগ নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

নতুন সভাপতির নেতৃত্বে বাফুফের কার্যক্রমে আধুনিকতা এবং কার্যকর পরিকল্পনার প্রভাবে দেশের ফুটবল অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী ক্রীড়ামহল। এখন প্রশ্ন হলো, তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে বাফুফে কতটা উন্নতি করবে এবং দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কতটা এগিয়ে নিতে পারবে, সেটাই সময় বলে দেবে